৪ দিনের মাথায় র‌্যাব কর্তৃক অপহৃতা উদ্ধার, আসামি গ্রেফতার

৪ দিনের মাথায় র‌্যাব কর্তৃক অপহৃতা উদ্ধার, আসামি গ্রেফতার

৪ দিনের মাথায় র‌্যাব কর্তৃক অপহৃতা উদ্ধার, আসামি গ্রেফতার
৪ দিনের মাথায় র‌্যাব কর্তৃক অপহৃতা উদ্ধার, আসামি গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক: নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে স্কুলছাত্রী অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির চার দিনের মাথায় র‌্যাব-১১ এর সদস্যরা সোমবার রাতে ফতুল্লাহ এলাকা থেকে অপহৃতা স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আড়াইহাজার থানায় সোপর্দ করেছে। অপহৃতা আনিকা খন্দকার (১৫) আড়াইহাজারের কে এম সাদিকুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী এবং পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কে এম আহাদের মেয়ে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, ওই ছাত্রীকে গত ১০ নভেম্বর দুপুরে স্কুলে যাবার সময় স্কুল সংলগ্ন ঢাকা- সিলেট মহাসড়ক থেকে বল পূর্বক অপহরণ করে নিয়ে যায় হাসানুর রহমান সুজন (১৯) নামে এক যুবক। সে রংপুর জেলার সদর উপজেলার সাহেবগঞ্জ পাঠানটারী গ্রামের ইকরামুল হকের ছেলে।

সে নারায়ণগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় অবস্থিত নিক্সন সান্ট গার্মেন্স এ চাকুরী করে বলে সাংবাদিকদেরকে জানায়। অপহরণের পর পর অপহরণকারী অপহৃতার মা খন্দকার ফাতেমার মুঠোফোনে কল দিয়ে আনিকা খন্দকারকে অপহরণের কথা স্বীকার করে তার কাছে নগদ ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। অপহৃতার পিতা কে এম আহাদ এ বিষয়ে একই সঙ্গে আড়াইহাজার থানায় ও র‌্যাব-১১ কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে র‌্যাব সদস্যরা অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিকটিম ও আসামীর অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিৎ হন। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টায় র‌্যাব -১১ এর টহল কমান্ডার এস আই অনিক ব্যানাজীর্র নেতৃত্বে ফতুল্লার হাজীগঞ্জের মোঃ শাহজাহান আলীর ভাড়া বাড়ীর ৫ম তলার একটি কক্ষে অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাব সদস্যরা আড়ালে থেকে অপহৃতার মাকে প্রথমে মুক্তিপণের জন্য নগদ ৫ লাখ টাকা দিয়ে ওই কক্ষে পাঠান। পরে কৌশলে র‌্যাব সদস্যরা ওই কক্ষ থেকে অপহৃতা আনিকাকে উদ্ধার ও অভিযুক্ত সুজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

অভিযুক্ত সুজন সাংবাদিকদেরকে জানায়, অপহরণের পর থেকে চারদিন আনিকা তার হেফাজতেই ছিল । এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আসামী সুজনকে মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply